নির্দেশনা

জীবনসঙ্গী নির্বাচনে ইসলামের দিক নির্দেশনা

সিরাতল মুস্তাকিম এর মুক্তি ও শান্তির সোপানে প্রধানতম উপায়গুলোর মধ্যে একটি হল সংসার বা বিবাহ। যার মূলে থাকে স্বামী ও স্ত্রী। এই যুগল যদি হয় ঈমান্দার ও আল্লহ ভীরু তবে তা হয় জান্নাতের এক টুকরা নিয়ামত।এই সংসারকে সুন্দর স্থায়ী করনে আল্লাহ ও তরা রাসূল (সাঃ) অনেক পথ বাতলে দিয়েছেন যেমন, আল্লাহ বলেন- “আর তোমাদের মধ্যে যারা অবিবাহিত তাদের বিবাহ সম্পন্ন করে দাও। আর তোমাদের দাস-দাসীদেরও (সূরা নুর-৩২)। বিবাহ করার ক্ষেত্রে আল্লাহ কিছু নীতিমালা দিয়েছেন যা মানা অত্যাবশ্যক( সূবার বাকারা- ২২১, নিসা- ২২, ২৩, ২৪, ২৫, নূর- ৩, ২৬ ইত্যাদি)। রাসূল (সাঃ) বলেছেন: যে ব্যক্তি বিয়ে করলো সে তার অর্ধেক দ্বীন পূর্ণ করে ফেললো। বাকি অর্ধেকের জন্য সে আল্লাহকে ভয় করুক। -(বায়হাকী, শু’আবুল ঈমান –৫৪৮৬) আবার বিবাহ করার ক্ষেত্রে রাসূল (সাঃ) ৪ টি গুনের কথা উল্লেখ্য করে বলেছেন, “নারীকে বিবাহ করা হয় ৪টি গুন দেখে তার সম্পদ, তার বংশ মর্যাদা, তার রূপ এবং তার দ্বীনদারীতা দেখে হেমুগলিমগন তোমরা দ্বীনদার নারী বিবাহ করে ধন্য হয়ে যাও” (বুখারী- ৬০৯০)। তিনি আরও বলেছেন, “(ছেলে হোক বা মেয়ে) যার দ্বীনদারী ও চরিত্রে তোমরা সন্তুষ্ট এমন কেউ বিয়ের প্রস্তাব দিলে তার সাথে তোমরা বিবাহ সম্পন্ন কর।তা নাহলে পৃথিবীতে ফিৎনা দেখা দিবে ও ব্যাপক ফাসাদ ছড়িয়ে পরবে।” (তিরমিযি- ১০৮৪) আবার তিনি (সাঃ) সাবধান করে বলেন: তোমরা নারীদের কেবল রূপ দেখে বিবাহ করোনা হতে পারে রূপই তাদের বরবাদ করে দিবে। তাদের সম্পদ দেখে বিবাহ করোনা হতে পারে সম্পদ তাকে উদ্ধত্ব করে তুলবে। বরং দ্বীন দেখেই তাদের বিবাহ কর। এক জন নাক কান কাটা অসুন্দরী দাসীও (রূপসী, ধনবান, স্বাধীনা নারীর চেয়ে) উত্তম। যদি সে দ্বীনদার হয়। (ইবনে মাজাহ)
SIGN INTO YOUR ACCOUNT CREATE NEW ACCOUNT

 
×
 
×
FORGOT YOUR DETAILS?
×

Go up